Wednesday 7 October 2020

Unemployment বা বেকারত্ব।

 


ডিপ্রেশন কি? তা কতোটা ভয়ানক জানতে চান ? 

তাহলে একটা বেকার ছেলের পাশে গিয়ে বসুন। আর শোনার চেষ্টা করুন তার গল্পটা। তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন ডিপ্রেশন কতোটা বয়ানক। 

তার উপরে ছেলেটা যদি হয় মধ্যবিত্ত -  তাহলে তো আর কোন কথাই নেই 

'একে মধ্যবিত্ত তার উপরে বেকারত্ব' সে যেন এক নিয়তির নির্মম পরিহাস ।

 একটা মধ্যবিত্ত ছেলেকে এমনিতে হাজারটা টেনশন মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত ডিপ্রেশনে ভুগতে হয়।  বেকারত্ব তার জীবন অন্ধকারে বয়ে আনে।

 একটা বেকার ছেলেকে প্রতিনিয়ত হাজারটা কথা শুনতে হয় শুধু তার বেকারত্বের জন্য সেটা যতই ভাল হোক না কেন। ইনকাম করার সামর্থ্য না থাকলে তার কোথাও দাম নেই।

 এই সমাজে ভালো মানসিকতা নয় ভালো ইনকামের উপর নির্ভর করে দাম দেওয়া হয় ।

সবার আদরের ছেলেটা হয়তো একটা সময় পরে এসে পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায় । আর তাকে প্রতিনিয়ত শুনতে হয় 

-আর কতো বাবার হোটেলে খাবি? 

-এবার কিছু একটা কর ? 

আর একটা কথা কতোটা অপমানজনক আর কতটা যন্ত্রণাদায়ক শুধু একটা বেকার ছেলেই জানে। বেকার ছেলেটার অনেক স্বপ্ন থাকলেও সব স্বপ্ন পূরণ হয় না । কারণ তার কাছে স্বপ্ন পূরন করার মত সামর্থ্য থাকে না ।

একটা সময় হয়তো নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে বিসর্জন দিতে হয় বেকারত্বের কাছে ফোনের ঐ প্রান্ত থেকে যখন মেয়েটি বলে উঠে - "আমার বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে' কিছু একটা করো?"

 তখন বেকার ছেলেটি নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে ধরে রাখার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও সেই ইচ্ছে বুকের ভিতর দাফন করে বলতে হয় - তুমি  বিয়ে করে নাও !

কারণ সে জানে সে কিছুই করতে পারবেনা।

 আর একজন বাবা-মা তার মেয়েকে একটা বেকার ছেলের হাতে কখনোই তুলে দেবে না।

 এভাবে প্রতিনিয়ত হাজারটা স্বপ্ন কে বিসর্জন দিতে হয় বেকারত্বের কাছে।

 এ শহরে সবাই বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে মনে আঘাত করতে পারে কিন্তু মুছে দিতে কেউ সাহায্য করে না। বেকারত্ব নিজেকেই গুছিয়ে নিতে হয়।

 বেকার ছেলেটা হয়তো একদিন চাকরি পাবে কিন্তু ফিরে পাবেনা চাকরির জন্য হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষকে! বেকার ছেলেটা হয়তো একদিন ইনকাম করবে কিন্তু বেকার থাকা অবস্থায় পাওয়া কষ্ট গুলো কখনোই সে ভুলবে না।।

Tuesday 6 October 2020

Life not for love (Part:2)

 অব্যক্ত প্রেম : ২য় পর্ব 

________________________

এই কেমন আছো? তোমাকে বলছি!
-জ্বি, কিছু বললেন ?
-নাহ্ …!
কোথায় যাচ্ছ ?
-বাসায়।
অনেক দিন পর তোমার সাথে দেখা হল । চল ঐ দিকে গিয়ে বসি ‌। তুমি আবারো তার মতো করে বলতে পারনি ।

-কে… , ওহ্ ! তোমার হাতুড়ে ডাক্তার?
-হ্যাঁ।
সে কিভাবে বলতো ? কি ব্যাপার আজ তুমি বাদাম খাচ্ছ? -কেউ একজনের favourite তাই খাচ্ছি। ওহ্ আচ্ছা …
এই নাও তোমার gift ! হা হা হাহা!
কি ব্যাপার_নিবে না। নিতে আপত্তি নেই , কিন্তু …।

কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর মেয়েটি রেগেমেগে বলে উঠলো বাদাম খেতে বলবেনা আমায় ? আমি হা হা করে হাসতে হাসতে বলে উঠি , তোমার খেতে মন চাইলে কিনে (ক্রয় করে) খাও!
আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ও খাচ্ছে আর আমাকেও চামড়া ফেলে বিচি দিচ্ছে।  একটু নিরবতার সহিত বলে উঠলো, তিন তিনটা মাস আমি পাগলের মতো খুঁজেছি, কল দিয়েছি, মেসেজ করেছি । তুমি এতই পাষাণ যে , একটা কল রিসিভও কর না আর রিপ্লেও দাও না । কতো নাম্বার থেকে কল করেছি , বিভিন্ন নাম্বার থেকে মেসেজও দিয়েছি । একবারও কি তোমার মনে হয় নাই কল রিসিভ বা বেক করতে ? কতো রাত পার করেছি তোমায় ভাবতে ভাবতে আ……

তোমার বলা শেষ, আমি কি কিছু বলতে পারি? 

-মেয়েটি ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো, আর বলল হ্যাঁ - বল।

তুমি একদিন দুইদিন নয় , এভাবে হাজারটা দিন‌ বিসর্জন দিলেও তার মতো একদিনের বিসর্জন এর সমান বিসর্জন দিতে পারবেনা । 

-তুমি কি বুঝনা , আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারিনা !

-হ্যাঁ- তোমার কল পেয়েছি কিন্তু অপরিচিত নাম্বার রিসিভ করতে বারণ করেছিল আমার সেই হাতুড়ে ডাক্তার । মেসেজ‌ও আমি পেয়েছি, পড়েছি এবং কেঁদেছি। না জানি তুমি কতো কষ্ট করে লিখেছ।

_তোমার কি মনে হয় , আমি ঘুমিয়েছি?
কিন্তু তুমি তার মতো করে একটা মেসেজ‌ও দিতে পার নাই , তোমার ব্যার্থতা । আচ্ছা তুমি আমার জন্য এতো কিছু করতেছ কেন?
কারণ আমি তোমাকে… …… !
এ বলে মেয়েটি চলে গেল ।। 


                                                       (সংক্ষেপিত)

Sunday 4 October 2020

Life not for love

 অব্যক্ত প্রেম

--------------------

হাসলে কেন?

এমনিতেই।

কোন প্রেমিকা নেই বুঝি?

না নেই। তুমি বুঝলে কেমনে?

লম্বা চুল, দাড়ি, গোফ। কোচকানো শার্ট এসব দেখেই আন্দাছ করা। প্রেমিকা থাকলে ছেলেরা অন্তত গুছিয়ে থাকে।

বাদাম খাবে?

না, বাদাম তেমন একটা পছন্দ নয় আমার।

তাহলে কি খেতে সবচেয়ে ভাল লাগে তোমার?

বিরিয়ানি!

তাহলে একদিন তোমায় বিরিয়ানি খাওয়াব। খাবে আমার রান্না?

খেতে আপত্তি নেই। তবে জানিনা খাওয়া হবে কিনা।

কেন?

তুমি কি তার মত করে বলতে পারবে?

কার মত?

হাতুড়ে ডাক্তারের মত। 

তার মত বলতে পারলেই তবে আশ্বাস দিতে পারি খাব বলে।

হাতুড়ে ডাক্তার কে? সে কিভাবে বলত? সে কি তোমায় ছেড়ে চলে গেছে নাকি তুমি?

তার কোনটায় নয়। যে কখনো হ্রদয়ে স্থান দেয়নি সে আবার ছেড়ে যায় কিভাবে?

এসবই আমার ভ্রান্তি।

আচ্ছা তোমার কাছে কি তার ফোন নাম্বার আছে?

কি করবে তার ফোন নাম্বার দিয়ে?

একটু আলাপ করব তার সাথে।

সে তো এখন আর বেচে নেই। বহু আগেই সে নেই হয়ে গেছে।

সত্যিই সে মারা গেছে?

হাতুড়ে ডাক্তার বেচে আছে বৈ কি কিন্তু আমার সেই হাতুড়ে ডাক্তার আর বেচে নেই।

তোমার কথাতো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। একটু বুঝিয়ে বলবে?

শুনবে তার কথা? তবে অন্য কোনদিন শুনাব তোমায়।আজ বরং উঠি!

আচ্ছা শুন, চুল দাড়ি কেটে ফেলিও। পাগলের মত দেখাচ্ছে তোমায়!

দেখি কাটতে পারি কিনা। কিন্তু তুমি তার মত করে বলতে পারনি।

সে কিভাবে বলত?

অন্য একদিন শুনাব নাহয় এ গল্প...।

Unemployment বা বেকারত্ব।

  ডিপ্রেশন কি? তা কতোটা ভয়ানক জানতে চান ?  তাহলে একটা বেকার ছেলের পাশে গিয়ে বসুন। আর শোনার চেষ্টা করুন তার গল্পটা। তাহলে হয়তো বুঝতে পারবে...